বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ বাড়াতে ১২ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। চার দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নে সহজ শর্তে এ ঋণ দেবে আন্তর্জাতিক বহুলগ্নিকারি এই সংস্থাটি। আগামী নভেম্বরে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর এ অর্থ ছাড় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিশ্বব্যাংকের ঢাকায় নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ চমৎকারভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির এ উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক অভিভূত। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ভালো অংশীদার।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বন্দর উন্নয়নসহ মোট ৪০টি খাতে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এটি আগামীতে আরো বাড়বে।
সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে সক্ষম তার একটা বড় প্রমাণ হলো- বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই আমরা পদ্মাসেতু করতে সক্ষম হচ্ছি। আজকে সেই বিশ্বব্যাংকই বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করে গেল।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কী ছিল, আর আজ কোথায় এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অগ্রযাত্রা তা কোনোভাবেই থামানো যাবে না। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে। আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছি।
তোফায়েল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ সহায়তা পাইপলাইনে রয়েছে। প্রতিবছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার খরচ করতে পেরেছি। এবার এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা পাবো বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে চার দেশের মধ্যে বিবিআইএন চুক্তির আওতায় রিজিওনাল কানেক্টিভিটির অর্থায়নে তারা অর্থ সহায়তা দিতে চায়।