হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক ৩ আসামির মালপত্র ক্রোক হওয়ার পর এবার তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রবিবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এ নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন: সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বাবুল, উস্তার মিয়া ও বিলাল।
রবিবার মামলার নির্ধারিত তারিখে ৪ শিশু হত্যায় ব্যবহৃত দুটি সিএনজি অটোরিক্সা নিজেদের জিম্মায় পাওয়ার জন্য আবেদন করেন সুজন মিয়া ও বকুল মিয়া। এ ব্যাপারে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়। মামলার শুনানির শুরুতেই পলাতক ৩ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ তামিলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। মামলার পরবর্তি তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২২ আগস্ট।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও যতি পলাতক তিন আসামী আদালতে হাজিহর না হয় তখন তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
আদালস সূত্র জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মামলাটির চার্জ গঠন করা হবে। পরে মামলাটি বিচারের জন্য সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চার শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটির নিচে ওই চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত শিশুরা হলো: সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। আর ইসমাইল তাদের প্রতিবেশি। গত ৫ এপ্রিল হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি মুক্তাদির হোসেন এ ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।