ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্টে একের পর এক রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে লর্ডসে। প্রথম দিনে মিসবাহ উল হক অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে।
দ্বিতীয় দিনে ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ওপেনার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন সুনীল গাভাস্কারকে পিছনে ফেলে। আর দিনের শেষ ভাগে এসে বল হাতে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়ারিস শাহ।
লর্ডসে গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম লেগ স্পিনার হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির। এর মধ্যে দিয়ে দুই দশক পর কোন লেগ স্পিনারের নাম উঠেলো লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। ২০ বছর আগে সর্বশেষ এই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন আরেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার মোশতাক আহমেদ।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৬২তম ওভারে মইন আলীকে কে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন ইয়াসির। উপমহাদেশের বাইরে এটি ইয়াসিরের প্রথম ৫ উইকেট। তার এই কৃতিত্বে ইতিমধ্যেই ম্যাচের নাগাল হাতে নিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৮৬ রান পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫৩।
পেস বোলাদের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত লডর্সের উইকেটে যাদু দেখিয়ে চলছেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩৯ রানের জাবাব দিতে নেমে ইয়াসিরের ম্যাজিকে ব্যাকফুটে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
একে একে ফিরিয়েছেন জো রুট, জেমস ভিন্স, গ্যরি ব্যালান্স, জনি বারিস্টো ও মইন আলীকে।
অথচ লর্ডসের উইকেট সব সময়ই পেসারবান্ধব হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়ও দেখা গেছে সেই চিত্র। পাকিস্তানের ১০টি উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। তার মধ্যে ক্রিস ওকস ৭০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নাম লিখিয়েছেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। এছাড়া স্টুয়ার্ড ব্রড ৩টি ও জ্যাক বল ১টি উইকেট নিয়েছেন।
পাকিস্তানের পেসাররা অবশ্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের তেমন কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। মোহাম্মদ আমির ও রাহাত আলি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।