আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

উজিরপুরে বাল্য বিবাহের হিড়িক

এম জামাল হোসেন : বরিশালের উজিরপুরে বাল্য বিবাহের হিড়িক। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের অভিভাবকরা সরকারের নিয়ম কানুনকে উপক্ষো করে বিভিন্ন পন্থায় সন্তানদের বাল্য বিবাহ দিচ্ছে এমনকি ভূয়া জন্ম নিবন্ধন দাখিল করে, নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আইনজীবিদের ভূল ব্যাখা দিয়ে স্কুল পড়-য়া শিক্ষার্থীদের বয়স বৃদ্ধি করে বিবাহ কার্য সম্পাদন করছেন। এর সাথে জড়িত এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ভুয়া নিকাহ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে একের পর এক বাল্য বিবাহ করাচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার নির্দেশিত একজন করে সরকারি নিকাহ রেজিষ্ট্রার থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক নিকাহ রেজিষ্ট্রার রয়েছে। শিকারপুর ইউনিয়নে নিকাহ রেজিষ্ট্রার আমিনুল ইসলাম রিয়াজ বামরাইল ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার সুবাধে একাধিক ভুয়া কাজীর দ্বারা শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহ সম্পাদন করছে। বড়াকোঠা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার মাও: আঃ রহিম শোলক ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার কারনে ওই দুই ইউনিয়নে একের পর এক বাল্য বিবাহ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বড়াকোঠা গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ৭ম শ্রেণিতে পড়-য়া বি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী (১৬) কে সেপ্টেম্বর একই এলকার আনছার আলী মোল্লা ছেলে প্রবাসী হারুন অর রশিদ মোল্লা(২৫) এর সাথে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধি করে বিবাহ করান। ২৫ সেপ্টেম্বর শোলক ইউনিয়নের আটক গ্রামের বশার হাওলাদারের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়-য়া ছাত্রী জোলেখা আক্তার (১৪) কে জোড় পূর্বক বিবাহ দেন। বামরাইল ইউনিয়নে ত্রিমুখি নামক স্থানে দামোদরকাঠী গ্রামে সেলিম হাওলাদারের মাদ্রাসা পড়-য়া ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোড় পূর্বক বিবাহ আয়োজন করে বামরাইল ইউনিয়নের ভরসাকাঠী গ্রামের নাসির হাওলাদারের সাথে ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। ৬০ জন বরযাত্রী ওই মেয়েকে নিতে আসলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রী পালিয়ে যায়। হস্তিশুন্ড গ্রামের জালাল মোল্লার মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়-য়া মাদ্রাসার ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার কে কাজিরা গ্রামের মুজাহার হাওলাদারের ছেলে মিরাজ হোসেন হাওলাদারের সাথে ২৩ সেপ্টেম্বর বিবাহ হয়। হস্তিশুন্ড গ্রামের বাবুল সরদারের মেয়ে মোসাঃ নাজমুন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে পড়-য়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ৯ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের সেকান্দার বেপারীর পুত্র সুজন বেপারীর সাথে বাল্য বিবাহ হয়। পশ্চিম শোলক গ্রামে নয়ন হাওলাদারের মেয়ে ১০ম শ্রেণিতে স্কুল পড়-য়া ছাত্রী নাজমিন আক্তার কে ছয়গ্রামের একটি ছেলের সাথে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিয়ের  বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। এদিকে শিকারপুর ইউনিয়নের একাধিক বাল্য বিবাহের অভিযোগ পাওয়া যায়।  বি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আদম আলী হাওলাদার জানান আমার ্স্কুলের মেয়েটিকে বিবাহ দিয়েছে আমার জানা নেই, তবে এটি যঘন্য অপরাধ। এছাড়া বহু বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নিরব ভুমিকার কারনে বেড়েই চলছে একের পর এক বাল্য বিবাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.