আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

তামিম মিরপুর স্টেডিয়ামে অনার্স বোর্ড চান

কিছুদিন আগেই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখালেন মিসবাহ-উল-হক, ইয়াসির শাহ, ক্রিস ওকস। ইতিহাস, ঐতিহ্য, খ্যাতি,মিলিয়ে লর্ডসের অনার্স বোর্ডের ব্যাপারটিই আলাদা।

লর্ডসের অনার্স বোর্ড নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আনন্দের বড় উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথম টেস্টে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওই বোর্ডে নাম তুলেছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। তবে ইংল্যান্ডের রান ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাঁচশ, শাহাদাত রান দিয়েছিলেন একশ ছুঁইছুঁই।

তামিমের ইনিংসটি ‘স্পেশাল’ ছিল অনেক কারণেই। ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেছিলেন। ৯৪ বলে করেছিলেন শতক, সেই সময়ে যা টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম। সেই শতক আবার করেছিলেন ম্যাচের আগেই অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর ঘোষণা দিয়ে!

পরের টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও শতক করেছিলেন তামিম। লর্ডসের মতো বিখ্যাত না হলেও অনার্স বোর্ড আছে ম্যানচেস্টারের এই মাঠেও। সেবারের পর আর ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। অনার্স বোর্ডেও নাম ওঠেনি আর কারও।

তামিম ইকবালের ভাবনা, যদি শের-ই-বাংলাতেও থাকতো এমন অনার্স বোর্ড! লর্ডস, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মত অনার্স বোর্ড আছে অ্যাডিলেড ওভালে, আরও দু-একটি মাঠে।

তামিম বলেন, ‘লর্ডস যেমন ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের জন্য শের-ই-বাংলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাচ্চাদের স্বপ্ন থাকে ওরা একদিন শের-ই-বাংলায় খেলবে। আমার জন্য সব মাঠই গুরুত্বপূর্ণ তবে আমার দেশের নিজের মাটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘যদি একটা বোর্ড করা হয়, কেউ যদি বড় অর্জন কিছু করে, ওগুলো যদি লেখা হয়; সেটা যত দিন খেলব ততদিন হয়ত মূল্য বুঝবো না, যখন ক্রিকেট ছেড়ে দিব তখন বুঝব। হয়তো তখন আমি আমার ছেলেকে দেখাতে পারবো আমি এখানে কিছু একটা করেছিলাম। আমি নিশ্চিত, অন্য সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখাতে পারবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.