বরিশাল অফিস : বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়(শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামের অন্যতম ইলেক্ট্রোলাইড ৩টি মেশিনই প্রায় ৬ মাস ধরে বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে ওই মেশিনটির চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বাড়তি খরচে বাহিরের ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার থেকে এ পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। শেবাচিম হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, একজন রোগীর শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্লোরাইড নির্ণয়ের জন্য ইলেক্ট্রোলাইড মেশিণ ব্যবহার করা হয়। প্রচন্ড গরমে ডি-হাইড্রোশেন শুন্যতা এবং বিষপান করা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্লোরাইড নির্ণয়ের প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশী। শেবাচিম হাসপাতালে ৫ বছর আগে ৩টি ইলেক্ট্রেলাইড মেশিন স্থাপন করা হয়। প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকায় ২টি মেশিন শুরু থেকেই চালু করা যায়নি। ব্যবহারের অভাবে ওই মেশিণ দুটি অনেক আগে বিকল হয়ে যায়। সচল থাকা একমাত্র মেশিনটি বিকল হয় প্রায় ৬ মাস আগে। এরপর থেকে সংশ্লিস্ট রোগীদের হাসপাতাল সংলগ্ন প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। সুত্র জানায়, হাসপাতালের ইলেক্ট্রোলাইড মেশিনে পরীক্ষার ২৫০ টাকা ফি গ্রহন করা হতো। বাইরের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে এ পরীক্ষার জন্য ফি নেওয়া হয় ৭০০ টাকা। হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বৃদ্ধ এক রোগীর স্বজন শাহ আলম জানান, চিকিৎসক ইলেক্ট্রোলাইড পরীক্ষা দিয়েছে। হাসপাতালে সেই পরীক্ষা করতে নিলে ষ্টাফরা একটি ডায়গনষ্টিক ল্যাবের ভিজেটিং কার্ড দিয়ে বলে, এখন থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনেন। হাসপাতালের মেশিন ৬ মাস ধরে বন্ধ। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের সামনে থেকে ৭শ টাকায় ইলেক্ট্রোলাইড পরীক্ষা করিয়ে আনতে হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে এ পরীক্ষা করানো গেলে মাত্র ২৫০ টাকায় করানো যেতো। শাহ আলমের মত আরো অনেক রোগীর স্বজনরাই হাসপাতালের তিনটি মেশিন বিকল থাকার কারণে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা: এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের অধিকাংশ মেশিনারীই অনেক পুরাতন। যার কারণে প্রতিটি মেশিনই নস্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ক্স-রে মেশিন মেরামত করানো হয়েছে। এ মেশিনও মেরামতের জন্য ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান এসে এ মেশিনটি মেরামত করবে বলে পরিচালক ডা: সিরাজুল জানান।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৬ মাস ধরে ইলেক্টোলাইড মেশিন বিকল ॥ রোগী দুর্ভোগ
![](https://www.rockinrioacademy.com/wp-content/uploads/2016/07/13580489_585818108264019_5254647749988904169_o.jpg)