জাকির হোসেন,
বানারীপাড়ায় সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার কারনে ফের আলোচনায় এসেছেন এ এস আই জাহিদ হোসেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অবহেলিত জনপদের চিত্র নজরে আসেনি সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের। ১৫ জানুয়ারি সকালে সরেজমিনে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নে গেলে কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকর্মিদের জানান,বিষয়টি কয়েক দফা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের নজরে আনা হলেও এলাকাবাসির দূর্ভোগ লাঘবে কেউই এগিয়ে আসেননি। জানাগেছে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের হাওড়াবাড়ির কোনা থেকে পশ্চিম ইন্দের হাওলা (চব্বিশ পরগোনা) পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি ১৯৯১ সালের পরে আজ পর্যন্ত নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়নি। ওই সড়কটি দিয়ে আউয়ার, ব্রাক্ষ্মনবাড়ি, ইন্দের হাওলা, মালিকান্দা, সাতবাড়িয়া ও তেঁতলা গ্রামের কয়েক শত জনগণ চলাচল করেন। এ ছাড়াও ওই সড়কটি দিয়েই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্র্থীরা তাদের প্রিয় বিদ্যাপিঠে ছুটে চলে শিক্ষা গ্রহনের জন্য। দীর্ঘ বছর পর্যন্ত ইট উঠে গিয়ে সড়কটি রুগ্ন দশায় রুপ নেওয়ায়,হাটতেই অসুবিধে হচ্ছে সেখানকার বসতিদের। “কথায় আছে মরার ওপর খড়ার ঘা”ওই সড়কটির প্রায় ৫টি স্থানে সড়কের মাঝ বরাবরে কেটে ধানের ক্ষেতে পানি সেচের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। কাটা পর্যন্তই শেষ তার পরে কোনমতে সরু কোন গাছের গুড়ি ফেলে তারা দাঁয়সাড়া দায়িত্ব পালন করেন। এতে আরও চরম ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে বানারীপাড়া থানার এএসআই জাহিদ হোসেন ১৫ জানুয়ারি সকালে এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন ও ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম রাজুর সহায়তায় সড়কের কাটা স্থান গুলোর মাঝখানে পাইপ বসিয়ে মাটি দিয়ে ভড়াট করে দেন। এতে করে কৃষক ও এলাকাবাসী উভয়ই উপকৃত হওয়ায় জাহিদ হোসেনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী। এদিকে সড়কের কিছু অংশ ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ায় সেখানকার ইউপি সদস্য কাজলকে তার মুঠোফোনে কল করে ডাকার পরেও, সে উপস্থিত না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে এ এস আই জাহিদ হোসেন বলেন মানুষই মানুষের উপকারে আসবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়টি তার নজরে আসায় মানুষের কল্যানে সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এমন কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
বানারীপাড়ায় জনকল্যান মূলক কাজ করে এবারো আলোচনায় এস আই জাহিদ
![](https://www.rockinrioacademy.com/wp-content/uploads/2019/01/MYXJ_20190117135303_save.jpg)