ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরির যে ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইনে গেছে তার কিছু অংশ (১৫ মিলিয়ন) ফেরত পাওয়ার আইনি প্রক্রিয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম এ খবর জানানো হয়।
ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) পরিচালক জুলিয়া আবাদ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী (জাঙ্কেট অপারেটর) কিম অংয়ের ফেরত দেয়া অর্থ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়ার একটি আবেদনে দেশটির নিম্ন আদালত ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যদি ২০ দিনের মধ্যে ওই টাকার দাবি নিয়ে আদালতে যায় তাহলে সম্মতিক্রমে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত ওই অর্থ ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি কিংবা দল যদি সরকারের বাজেয়াপ্ত করা কোন অর্থের দাবি করে তাহলে তাকে ঠিক ঐ আদালতেই আবেদন করতে হবে যেখান থেকে ঐ সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেয়া হয়েছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে সঞ্চিত বাংলাদেশ থেকে লোপাট করা অর্থের ৮১ মিলিয়ন ডলার বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে মধ্যে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ ডলার দেশটির রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক হয়ে কিম অংয়ের ক্যাসিনোতে গিয়েছিল।
ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত শুরুর পর গত এপ্রিল থেক মে মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি ধাপে ১৫ মিলিয়ন ডলার বা দেড় কোটি ডলার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন অং। সেই অর্থ ফেরত পেতেই আদালতে যেতে হবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে। বাকি অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারেও তৎপর রয়েছেন ম্যনিলায় অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি হ্যাকাররা নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৯৫১ মিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ১০১ মিলিয়ন ডলার নিয়ে সটকে পড়ে। এরমধ্যে অনলাইন ট্রান্সফার হয়ে ৮১ মিলিয়ন যায় ফিলিপাইনে, বাকি ২০ মিলিয়ন যায় শ্রীলংকায়